এই ব্যস্ত শরতের রাতে পায়ে পায়ে সৃতিগুলো
আমার হৃদয়কে চঞ্চল করে তুলেছে।
পৃথিবীর সময় চলেছে দ্রুত,মনটা বড়ই অশান্ত।
চোখের জল মেঘ হয়ে উড়ে যায়।
অগোচরে ভুলে যাই আমার অস্তিত্ব।
বেঁচে থাকি অভ্যাসের মায়ার নোনাজলে।
তবুও কিছু শূন্যতা থেকে যায় অস্পষ্ট।
অলস আড়মোড়া দুপুর অবহেলার সময়
পেরোলেই মাসের শেষ শুক্রবারের অপেক্ষা।
সেই অপেক্ষার প্রহরে আমি ভিজে যাই অথচ
ভীষণ আপন হয়ে এই আসরটি বুকের কাছে
নিদারুণ বিশ্বাসে মিশে থাকে মানুষ আর মানুষে।
অভ্যাসের আলোকিত পথ পেরিয়ে যায় মাঠের পর মাঠ।
অভিমান ঘাসের ডগায় শিশিরবিন্দু হয়ে গলে পড়ে।
আমার মন খারাপের কান্না অদ্ভুত ভাবে উড়ে যায়।
ইচ্ছেগুলো আবার পাখা মেলে আলোর শহরে।
খুব যত্ন করে ব্যাকুল হয়ে নিজেকে সাজাই।শাড়ির ভাজে শরীর জুড়ে একগুচ্ছ শব্দ নিয়ে
আমি হাত বাড়িয়ে আছি সেই অলৌকিক আসরে।
বর্ষপূর্তির এই শরতের সন্ধ্যায় জোছনা মেখে দিলাম। চোখে কাজল, কপালে টিপ,একটা মানুষ
আমি তোমাদের আপন জন।